বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালির পাতে প্রতিদিন মাছ চাই।মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। তবে যদি মাছের ডিমের কথা বলি, অনেকেই হয়তো এটি খেতে আরও বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু, জানেন কি মাছের ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে?
মাছের ডিম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আমাদের শরীরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসকদের মতে, মাছের ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের বহু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে চলুন দেখে নিন, মাছের ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা।
নিউট্রিশন ভ্যালু ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারে পরীক্ষা অনুযায়ী, ১ টেবিল চামচ (১৬ গ্রাম) মাছের ডিমের নিউট্রিশন ভ্যালু হল- ক্যালোরিজ – ৪২ ফ্যাট – ৩ গ্রাম সোডিয়াম – ২৪০ মাইক্রোগ্রাম কার্বোহাইড্রেট – ০.৬ গ্রাম ফাইবার – ০ গ্রাম সুগার – ০ গ্রাম প্রোটিন – ৪ গ্রাম।
এছাড়াও রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং মিনারেলস। জেনে নিন মাছের ডিমের উপকারিতা।
১. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে
মাছের ডিমের মধ্যে থাকা ইপিএ, ডিএইচ এবং ডিপিএ(এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহায়তা করে।
২. রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হ্রাস করতে
গবেষকদের মতে, মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৪. চোখ ভালো রাখতে
মাছের ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিএইচএ এবং ইপিএ শিশুদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে ও রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি
মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে তোলে, যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে খুবই সহায়ক।
৫. হাড় শক্ত করতে
মাছের ডিমের মধ্যে থাকে ভিটামিন ডি, যা হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দাঁতকে মজবুত ও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৬. হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে
মাছের ডিমে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
মাছের ডিমের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে না দেওয়া এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে, যা উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
মাছের পাশাপাশি মাছের ডিমে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।